উপসর্গ কাকে বলে ও কয় প্রকার
যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি শব্দ বা ধাতুর পূর্বে যুক্ত হয়ে নতুন নতুন অর্থ বিশিষ্ট শব্দ গঠন করে, তাদের উপসর্গ বলে। উপসর্গ কথার ব্যুৎপত্তি হল উপ + √সৃজ্ + অ। উপ অর্থে পূর্বে বা আগে এবং √সৃজ্ অর্থে সৃজন করা। উপসর্গগুলি শব্দ বা ধাতুর পূর্বে বসে নতুন অর্থ সৃজন করে।
উপসর্গ কত প্রকার
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলিকে উৎস অনুসার তিন ভাগে ভাগ করা যায়: ১: সংস্কৃত উপসর্গ ২: বাংলা উপসর্গ ও ৩: বিদেশি উপসর্গ।
সংস্কৃত উপসর্গ
সংস্কৃতে ২০টি উপসর্গ আছে: প্র, পরা, অপ, সম্ , নি, অব, অনু, নির্ , দুর্ , বি, অধি, সু, উদ্ (উৎ), পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।
সংস্কৃত উপসর্গগুলিকে মনে রাখার উপায়: একটি সহজ পদ্ধতিতে এই উপসর্গগুলিকে মুখস্থ করা যায়। নিচে যে ভাবে সাজিয়ে দিলাম, ঐ ভাবে সাজিয়ে বার বার সুর করে বলতে থাকুন। দশ মিনিটেই মুখস্থ হয়ে যাবে।
প্র পরা অপ সম্
নি অব অনু নির্ দুর্
বি অধি সু উদ্
পরি প্রতি অভি অতি
অপি উপ আ
বাংলা উপসর্গের উদাহরণ
নিচের উপসর্গগুলি বাংলার নিজস্ব উপসর্গ।
অ, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, কু, গণ্ড, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সু, হা।
বাংলা উপসর্গ যোগে শব্দের উদাহরণ
অচল, অনাচার, কুবুদ্ধি, পাতিহাঁস, গণ্ডগ্রাম, রামছাগল প্রভৃতি।
বিদেশি উপসর্গের উদাহরণ
খোশ, দর, না, ফি, ব, বে, বদ, নিম, হর (এগুলি ফারসি)
আম, খাস, গর, লা (এগুলি আরবি)
বিদেশি উপসর্গ যোগে শব্দের উদাহরণ
নারাজ, খোশমেজাজ, দরদালান, ফিবছর, বেদম, বদনাম, হররোজ, আমমোক্তার, খাসমহল, গরহাজির, লাপাতা।