Ananyabangla.com

কথ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষার পার্থক্য

কথ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষা

কথ্য ভাষা বলতে বোঝায় যে উপভাষায় কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ কথা বলেন। কথ্য ভাষা হল মানুষের মুখে ব্যবহৃত জীবন্ত ভাষা। অপরদিকে লেখ্য ভাষা লেখালিখির কাজে ব্যবহৃত হয়। 

কথ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষার পার্থক্য

১: কথ্য ভাষা মানুষের মুখে মুখে ব্যবহৃত জীবন্ত ভাষা। লেখ্য ভাষা হল কেতাবি ভাষা, যা লেখালিখিতে ব্যবহৃত হয়।
২: কথ্য ভাষাতে ব্যাকরণের কড়াকড়ি নিয়ম মেনে চলা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু লেখ্য ভাষায় ব্যাকরণের নিয়ম মেনে চলতে হয়।
৩: কথ্য ভাষা এলাকাভেদে বদলে যায়। এক‌ই ভাষাভাষী অঞ্চলে কথ্য ভাষার একাধিক উপভাষা দেখা যায়। একটি ভাষার লেখ্য রূপ সাধারণত একটিই থাকে।
৪: কথ্য ভাষা আলাদা করে শিখতে হয় না; মানুষ তার জন্মের কিছুদিন পর থেকে পরিবেশ থেকেই কথ্য ভাষা শিক্ষা করে। অপর দিকে লেখ্য ভাষা আলাদা করে শিখতে হয়। 
৫: কথ্য ভাষায় বাক্যের গঠন অনেক সময় এলোমেলো হলেও চলে। লেখ্য ভাষায় বাক্যের গঠন ব্যাকরণসম্মত হতে হয়।
৬: প্রতিটি ব্যক্তির কথ্য ভাষায় কম-বেশি ফারাক দেখা যায়। এক‌ই ভাষাভাষী দু জন ব্যক্তির লেখ্য ভাষায় বেশি ফারাক থাকে না।
৭: কথ্য ভাষায় ভুল হবার সম্ভাবনা কম থাকে। লেখ্য ভাষায় ভুল হবার সম্ভাবনা বেশি।
৮: কথ্য ভাষায় ব্যক্তিগত মুদ্রাদোষ দেখতে পাওয়া যায়। লেখ্য ভাষায় মুদ্রাদোষের কোনো স্থান নেই।
৯: ধ্বনি পরিবর্তন ও শব্দার্থ পরিবর্তনের মাধ্যমে ভাষাকে গতিশীলতা দেয় কথ্য ভাষা। অপর দিকে লেখ্য ভাষা  ভাষার রূপকে স্থিতিশীলতা দেয়।

BLOG AD HERE

1 thought on “কথ্য ভাষা ও লেখ্য ভাষার পার্থক্য”

  1. Pingback: লিখিত ভাষা কাকে বলে - Ananyabangla.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *