অযোগবাহ বর্ণ
অনুস্বার (ং) ও বিসর্গ (ঃ) বর্ণদুটিকে অযোগবাহ বর্ণ বলা হয়। এদের অযোগবাহ কেন বলা হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন: এই দুই ব্যঞ্জনের সাথে স্বর ও ব্যঞ্জনের কোনো যোগ নেই, এরা যেন বর্ণমালার বাইরে, অথচ এদের দ্বারা উচ্চারণের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নির্বাহিত হয়, তাই এরা অযোগবাহ।
এদের মধ্যে অনুস্বার হল ঙ এর রূপভেদ এবং বিসর্গ হল হ ধ্বনির অঘোষ রূপ।
অযোগাবাহ বর্ণের অপর নাম কী
অযোগবাহ বর্ণগুলির অপর নাম আশ্রয়স্থানভাগী। এরা পূর্ববর্তী স্বরের আশ্রয় ছাড়া উচ্চারিত হয় না। অন্য ব্যঞ্জনের আগে বা পরে, একটি স্বর থাকলেই তাকে উচ্চারণ করা যায়। কিন্তু এই দুই ব্যঞ্জনের আগেই স্বর থাকতে হবে, পরে থাকলে হবে না এবং এদের নিজস্ব উচ্চারণ স্থান নেই, আশ্রয়দাতা স্বরের উচ্চারণ স্থানেই এদের উচ্চারণ হয়, তাই এদের এমন নাম হয়েছে। পূর্ববর্তী স্বরের আশ্রয়ে উচ্চারিত হবার কারণেই আশ্রয়স্থানভাগী ব্যঞ্জন দিয়ে কোনো শব্দ শুরু হয় না।
FAQ
প্রশ্নঃ অযোগবাহ বর্ণ কোনগুলি?
উঃ অনুস্বার ও বিসর্গ, এই দুটি বর্ণ অযোগবাহ বর্ণ।
প্রশ্নঃ অযোগবাহ বর্ণকে আশ্রয়স্থানভাগী বর্ণ বলে কেন?
উঃ অযোগবাহ বর্ণগুলি পূর্ববর্তী স্বরের আশ্রয় ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না, এবং আশ্রয়দাতা স্বরের উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী এদের উচ্চারণ স্থান বদলে যায়, তাই এদের আশ্রয়স্থানভাগী বর্ণ বলে।