বাক্যের অর্থগত শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ব্যাকরণে অর্থের বিচারে বাক্যকে সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যথা
১: নির্দেশক বাক্য: এই বাক্যের দ্বারা সাধারণ বিবৃতি বোঝায়।
২: প্রশ্নসূচক বাক্য: এই বাক্যের দ্বারা প্রশ্ন বোঝায়।
৩: অনুজ্ঞাসূচক বাক্য : এই বাক্যের দ্বারা আদেশ, অনুরোধ, উপদেশ বোঝায়।
৪: প্রার্থনা বা ইচ্ছাসূচক বাক্য: এই বাক্যের দ্বারা ইচ্ছা বা প্রার্থনা বোঝায়।
৫: বিস্ময় বা আবেগসূচক বাক্য: এই বাক্যের দ্বারা মনের আবেগ প্রকাশিত হয়।
৬: সন্দেহবাচক বাক্য: এই বাক্যের দ্বারা সন্দেহ প্রকাশিত হয়।
৭: কার্যকারণাত্মক বাক্য বা শর্তসাপেক্ষ বাক্য: এই বাক্যের দ্বারা কার্যকারণ সম্পর্ক বা শর্ত প্রকাশ পায়।
উপরের সাত প্রকার শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পড়ুন বাক্যের বিস্তারিত আলোচনা।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো যে, ইংরেজি ব্যাকরণে বাক্যকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়। শেষ দুটি ভাগ ইংরেজিতে নেই। আগে বাংলাতেও এই দুটি ভাগ আলোচনা করা হতো না। আধুনিক কালে সন্দেহবাচক ও শর্তসাপেক্ষ বাক্যকে আলাদা শ্রেণি হিসেবে আলোচনায় করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ্ এই সাত প্রকার শ্রেণিবিভাগ স্বীকার করেছে।
1 thought on “অর্থগত ভাবে বাক্য কত প্রকার”
Pingback: মৌলিক শব্দ কাকে বলে | সিদ্ধ/মৌলিক শব্দের উদাহরণ - Ananyabangla.com