শুদ্ধ বানানের তালিকা
বানান ভুল লেখা একদিকে যেমন অসম্মানজনক, অপরদিকে তেমনি ক্ষতিকর। ভুল বানানের কারণে অনেক সময়ই আমাদের নাম্বার কাটা যায়। লিখিত পরীক্ষায় ভালো স্কোর করার জন্য বানান শুদ্ধ লিখতেই হবে। আজকের আলোচনায় এমনই কিছু বানান তুলে ধরবো, যেগুলি আমরা প্রায়ই ভুল লিখি। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই বানানগুলি। প্রতিটি বানানের ব্যাখ্যা ব্র্যাকেটে সংক্ষিপ্ত আকারে দিয়ে দিলাম। অশুদ্ধ বানানগুলি ইচ্ছে করেই এখানে রাখলাম না, কারণ অশুদ্ধ বানান চোখে দেখলে মনে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুধুমাত্র শুদ্ধ বানান চোখে পড়লে শুদ্ধটি মনে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
- অত্যধিক (অতি + অধিক)
- অহোরাত্র (অহঃ + রাত্রি)
- মনোযোগ (মনঃ + যোগ)
- প্রতিযোগিতা/সহযোগিতা (‘তা’ যোগে স্বরের হ্রাস)
- আকাঙ্ক্ষা (হিন্দি উচ্চারণ স্মরণীয়)
- বৈশিষ্ট্য (বিশিষ্ট + ষ্ণ্য)
- বৈচিত্র্য (বিচিত্র + ষ্ণ্য)
- উৎকর্ষ (উৎকর্ষতা বলে কিছু নেই)
- উচ্ছ্বাস (উদ্ + শ্বাস)
- গীতাঞ্জলি (অঞ্জলি বানানে ই হয়)
- ঘনিষ্ঠ (ইষ্ঠ প্রত্যয়, ইষ্ট নয়)
- জাত্যভিমান, অনুমত্যনুসারে (ই + অ = য-ফলা)
- দুর্গা (দুর্ উপসর্গ আছে)
- পৌরোহিত্য (পুরোহিত শব্দের ও-কার থাকবে)
- ভৌগোলিক (ভূগোলের ও-কার থাকবে)
- মধুসূদন (সূদন শব্দ মনে রাখতে হবে)
- গিরিশ/গিরীশ (গিরি + শ, গিরি + ঈশ)
- সমৃদ্ধিশালী (সমৃদ্ধি বিশেষ্য, সমৃদ্ধিশালী বিশেষণ)
- সমীচীন
এখানে একটি কথা বলে রাখা উচিত যে অশুদ্ধি বিভিন্ন ধরনের হয়। যেমন: বানানগত অশুদ্ধি, বাক্যের গঠনগত অশুদ্ধি, পদসংগঠনগত অশুদ্ধি, শব্দপ্রয়োগগত অশুদ্ধি ইত্যাদি।