ক্রিয়াবিশেষণ
আমরা জানি বিশেষণ পদের কাজ হল অন্য পদকে বিশেষিত করা, অন্য পদ সম্পর্কে কিছু বলা। বিশেষণ পদ যে কোনো পদ সম্পর্কেই বলতে পারে। যেমন: বিশেষ্য, সর্বনাম, ক্রিয়া ইত্যাদি। বিশেষণ পদটি যে পদ সম্পর্কে কিছু বলে, সেই পদের নাম অনুসারে বিশেষণ পদটির নাম হয়। যেমন: কোনো একটি বিশেষণ যদি সর্বনাম পদ সম্পর্কে কিছু বলে, তাহলে তাকে বলা হয় সর্বনামের বিশেষণ। ঠিক একই ভাবে: যে বিশেষণগুলি ক্রিয়াপদকে বিশেষিত করে বা ক্রিয়া সম্পর্কে কিছু বলে, তাদের বলে ক্রিয়া বিশেষণ বা ক্রিয়ার বিশেষণ। নিচে উদাহরণের সাহায্যে ক্রিয়া বিশেষণ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হলো।
ক্রিয়া বিশেষণের উদাহরণ
নিচে অনেকগুলি ক্রিয়াবিশেষণের উদাহরণ দেওয়া হলো। সাধারণত ক্রিয়াকে ‘কীভাবে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তরে ক্রিয়াবিশেষণটি পাওয়া যায়, তবে সব সময় তা নাও হতে পারে।
১: গাড়িটি জোরে ছুটছে।
২: তুমি একটু আস্তে হাঁটো।
৩: ছেলেটি খুব পরিশ্রম করেছে।
৪: তুমি একটুও খেলে না।
৫: আমি প্রথমে এসেছি।
৬: পুরো রাস্তা হেঁটে এলাম।
৭: ছেলেটি কেঁদে কেঁদে অনুরোধ করল।
৮: লোকটি নাচতে নাচতে এল।
৯: হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো।
১০: মনে মনে পড়ো।
১১: চেঁচিয়ে কথা বলবে না।
১২: কাজটা সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেল।
১৩: হড়বড়িয়ে কাজ কোরো না।
১৪: গলা নামিয়ে কথা বলো।
১৫: তুমি অঙ্কটা নির্ভুল কষেছো।
১৬: দড়াম করে দরজাটা বন্ধ হয়ে গেল।
১৭: আমি ভয়ে ভয়ে কথা বলছিলাম।
১৮: ঢুলতে ঢুলতে কি পড়া হয়?
১৯: খাসা লিখেছ।
২০: বেশি বেশি অনুশীলন করো।
ক্রিয়া বিশেষণ কত প্রকার
ক্রিয়া বিশেষণ কত প্রকার, তা নির্দিষ্ট ভাবে বলা কঠিন। তবে ক্রিয়াবিশেষণ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।
যেমন:
ধ্বন্যাত্মক ক্রিয়াবিশেষণ
উদাহরণ: শন শন বাতাস বইছে, কড় কড় বাজ পড়ছে।
অসমাপিকা ক্রিয়া জাত ক্রিয়া বিশেষণ
উদাহরণ: নেচে নেচে হাঁটছে, দুলে দুলে পড়া করছে।
বিশেষ্যজাত ক্রিয়া বিশেষণ
উদাহরণ: দ্রুতবেগে ছুটছে, দক্ষিণ মুখে হাঁটবে।
বিশেষণ-জাত ক্রিয়াবিশেষণ
উদাহরণ: ধীরে হাঁটো, সহজ ভাবে কাজটা করো।