নৈকট্য সূচক স্থানাধিকরণ কাকে বলে
স্থানাধিকরণকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়: ১: ব্যাপ্তি সূচক স্থানাধিকরণ, ২: ঐকদেশিক/একদেশ সূচক স্থানাধিকরণ ও ৩: নৈকট্য সূচক স্থানাধিকরণ। এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো নৈকট্য সূচক স্থানাধিকরণ। নৈকট্য মানে নিকটের ভাব বা কাছাকাছি থাকার ভাব। আমরা জানি যে স্থানে ক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়, সেই স্থানকে স্থানাধিকরণ বলে। অনেক সময় দেখা যায় কোনো স্থানের নিকটে ক্রিয়া সম্পাদিত হলেও বলা হয় সেই স্থানেই ক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। এই ভাবে যে স্থানের নিকটে বা কাছাকাছি ক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়, সেই স্থানকে নৈকট্য সূচক স্থানাধিকরণ বলে। নিচে নৈকট্য সূচক স্থানাধিকরণের উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি ভালো ভাবে বোঝানো হলো।
উদাহরণ
১: বাইপাসে আমার বাড়ি। — বাইপাস একটি রাস্তা, সেই রাস্তার উপর কারও বাড়ি হতে পারে না। আসলে বাড়িটি অবস্থিত ওই রাস্তার নিকটে। তাই ‘বাইপাসে’ পদটি নৈকট্যসূচক স্থানাধিকরণ।
২: দরজায় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। — দরজায় নৈকট্যসূচক স্থানাধিকরণ। প্রকৃতপক্ষে দরজার সামনে গাবি দাঁড়িয়ে আছে।
৩: পুরীতে সমুদ্র আছে। — আসলে পুরীর নিকটে সমুদ্র আছে। ‘পুরীতে’ নৈকট্যসূচক স্থানাধিকরণ।
আশা করি এই বিষয়টি বোঝা গেছে। ইউটিউবে আমার ব্যাকরণের ক্লাস করার জন্য ইউটিউবে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak)।