ব্যুৎপত্তিগত অর্থ কাকে বলে
আলোচক: অনন্য পাঠক
স্কুল সার্ভিস কমিশন বাংলা বিষয়ের কোচিংয়ের জন্য নিচের লিংকে টাচ করুন।
‘ব্যুৎপত্তি’ কথার অর্থ হল শব্দের জন্ম বা উৎপত্তি (ব্যুৎপত্তি = বি + উৎপত্তি)। একটি শব্দ জন্মের সময় যে অর্থে ব্যবহৃত হত, পরবর্তী কালে তার সেই অর্থ অনেক সময় বদলে যায়। যেমন: সন্দেশ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল সংবাদ, বর্তমান অর্থ মিষ্টান্ন-বিশেষ। মৌলিক শব্দের ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করা যায় না, ব্যুৎপত্তি নির্ণয় করা যায় শুধুমাত্র সাধিত শব্দের। সাধিত শব্দের ব্যুৎপত্তি বলতে সাধারণ ভাবে প্রকৃতি-প্রত্যয় বোঝায়। তাই এক কথায় বলা যায় কোনো সাধিত শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয়গত বা উৎপত্তিগত অর্থকে বা আদি অর্থকে ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বলে।
ব্যুৎপত্তিগত অর্থ জানা প্রয়োজন কেন?
আগেই বলেছি সময়ের সাথে সাথে শব্দের অর্থ বদলে যেতে পারে। যে সব শব্দের অর্থ এই ভাবে বদলে গেছে, তাদের মূল অর্থটি বা আদি অর্থটির সঙ্গে বর্তমান অর্থের যোগ খুঁজে বের করার জন্য ব্যুৎপত্তিগত অর্থ জানতে হবে।
ব্যুৎপত্তিগত অর্থের বিপরীত কী?
ব্যুৎপত্তিগত অর্থের বিপরীতে আছে প্রচলিত অর্থ। মনে রাখতে হবে, একটি শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ যাই হোক, আমরা তাকে প্রচলিত অর্থেই ব্যবহার করতে পারবো। শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থটি যদি অপরিবর্তিত থাকে, তখনই একটি শব্দকে তার ব্যুৎপত্তিগত অর্থে প্রয়োগ করা যায়। যেমন ‘পাঠক’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ‘যে পড়ে’, শব্দটির প্রচলিত অর্থও তাই। আশা করি বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। কোনো অসুবিধা থাকলে আমার ইউটিউব চ্যানেলের যে কোনো ভিডিওতে কমেন্ট করে জানান। আমি অবশ্যই রিপ্লাই দেবো।
ইউটিউবে আমার ব্যাকরণের ক্লাস করার জন্য ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak)।
আরও পড়ুন