সমাসের ধারণা
নিজেদের মধ্যে অর্থের সম্পর্ক আছে, এমন একাধিক পদ একপদে পরিণত হলে সেই প্রক্রিয়াকে সমাস বলে।
অর্থের সম্পর্ক না থাকলে যে কোনো দুটি পদে সমাস হবে না।
‘সমাস’ কথার আক্ষরিক অর্থ হল সংক্ষেপ।
সমাসে যে পদগুলি মিলিত হয়, তাদের বলে সমস্যমান পদ।
যেমন: দশ আনন যাঁর = দশানন। এখানে ‘দশ’ ও ‘আনন’ পদদুটি সমস্যমান পদ।
সমস্যমান পদগুলি মিলিত হয়ে যে পদ গঠন করে, তাকে বলে সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ।
উপরের উদাহরণে ‘দশানন’ সমাসবদ্ধ পদ।
সমস্যমান পদগুলির অর্থ-সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হয় যে বাক্যাংশের দ্বারা, তাকে ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বলে।
সমাসের শ্রেণিবিভাগ
সমাসের প্রধান প্রধান ভাগগুলি নিচে উল্লেখ করা হল। প্রতিটি সমাস বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পড়ার জন্য যে কোনো সমাসে টাচ করুন।
দ্বন্দ্ব সমাস, তৎপুরুষ সমাস, কর্মধারয় সমাস, বহুব্রীহি সমাস, দ্বিগু সমাস, নিত্য সমাস, অব্যয়ীভাব সমাস।
সমাস থেকে প্রশ্নোত্তর
১: সমাস ব্যাকরণের কোন শাখায় আলোচিত হয়?
উত্তর: সমাস ব্যাকরণের রূপতত্ত্বে আলোচিত হয়।
২: সমাস শেখার প্রয়োজন কী?
উত্তর: সমাস শেখা হয় শব্দের জন্মপরিচয় জানার জন্য। ৩: সমাস কী কাজে লাগে?
উত্তর: সমাসের ফলে নতুন নতুন শব্দ গঠিত হয়।
৪: সংযোগ-মূলক সমাস কোনটি?
উত্তর: দ্বন্দ্ব সমাস সংযোগমূলক সমাস।
৫: আশ্রয়মূলক সমাস কোনগুলি?
উত্তর: তৎপুরুষ, কর্মধারয়, দ্বিগু ও নিত্য সমাস হল আশ্রয়মূলক সমাস।
৬: বর্ণনামূলক সমাস কাকে বলে?
উত্তর: বহুব্রীহি সমাসকে বলে বর্ণনামূলক সমাস।
ইউটিউবে আমার ক্লাস করার জন্য ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak).