দীর্ঘ ৯ বছর পর নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে আবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। স্বভাবতই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কাজ করছে উদ্বেগ ও ভয়। উদ্বেগ ও ভয়ের বশবর্তী হয়ে পরীক্ষার্থীদের ভুলভ্রান্তি হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। যাতে পরীক্ষার্থীদের ওই ধরনের ভুল না হয়, তাই এই আর্টিকেলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পরীক্ষার্থীদের মনে করিয়ে দিতে চাই।
প্রথমত:
পরীক্ষাকেন্দ্রে সময় মতো পৌঁছে যেতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে ১১টা থেকে ঢোকা যাবে। যাদের অ্যাডমিট কার্ডে সই বা ছবির সমস্যা আছে, তাদের ১০টার মধ্যে পৌঁছে যেতে হবে কমিশন-নির্ধারিত ডকুমেন্ট নিয়ে।
দ্বিতীয়ত:
সঙ্গে নিতে হবে অ্যাডমিট, আইডি প্রুফ ও স্বচ্ছ কলম (যার ভিতরের রিফিল বা কালি দেখা যায়)। কালো বা নীল, উভয় রঙের কালি চলবে। স্বচ্ছ কলম একান্তই না পেলে সাধারণ সাদামাটা কলম নেবে। নিজস্ব জলের বোতল রাখতে চাইলে তা স্বচ্ছ হতে হবে। বোতলের গায়ে কোম্পানির লেবেল থাকলে তুলে ফেলতে হবে।
তৃতীয়ত:
পরীক্ষার হলে ১৫-২০ মিনিট আগে ঢুকে পড়ো। ঢোকার সময় গেটে চেকিং হবে। কোনও রকম ইলেকট্রনিক বা সন্দেহজনক বস্তু সঙ্গে নেওয়ার অনুমতি নেই।
চতুর্থত:
মনে রাখবে, ও.এম.আর. শিটের একটি কার্বন কপি তোমাদের দেওয়া হবে। কার্বন কপিটি যত্ন সহকারে বাড়িতে এনে প্লাস্টিক ফয়েলের মধ্যে আর্দ্রতামুক্ত পরিবেশে সংরক্ষণ করো। বলা যায় না, এই কার্বন কপিটি ভবিষ্যতে দরকার পড়তে পারে।
পঞ্চমত:
মনে রাখবে, ও.এম.আর. শিট ও অ্যাটেনডেন্স শিটে পরীক্ষার্থীর সই করা বাধ্যতামূলক। পরীক্ষার্থীদেরও দায়িত্ব হলো ইনভিজিলেটরকে নিজের ও.এম.আর. শিটে সই করিয়ে প্রত্যয়িত করানো।
সর্বশেষ পরামর্শ:
পরীক্ষার হলে ভয় সরিয়ে রেখে মাথা ঠাণ্ডা রেখে পরীক্ষা দিতে হবে। ভয় ও উদ্বেগ তোমার শত্রু । নানা জনে নানা কথা বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে। নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকো। তোমার আত্মবিশ্বাসই তোমাকে সাফল্যের পথে নিয়ে যাবে।