করণ কারক
ক্রিয়া সম্পাদনের সহায়ক, হেতু, উপায় প্রভৃতিকে করণ কারক বলে। করণ কারকের অনেকগুলি ভাগ আছে। প্রতিটি ভাগের উদাহরণ নেওয়া হলে করণ কারক সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা গড়ে উঠতে পারে। নিচে প্রতিটি ভাগের উদাহরণ দেওয়া হলো।
করণ কারকের শ্রেণিবিভাগ
১: যন্ত্রাত্মক করণ
চামচ দিয়ে খাই। হাত দিয়ে ধরেছি। দড়ি দিয়ে বেঁধেছি।
২: উপায়াত্মক করণ
টাকায় কী না হয়! কৌশলে কাজ করো।
৩: হেতুবোধক করণ
ছেলেটা ভয়ে কাঁদছে। লজ্জায় মাথা কাটা গেল।
৪: লক্ষণাত্মক করণ
পৈতায় বামুন চেনা যায়। শিকারি বেড়াল গোঁফে চেনা যায়।
৫: সহকার অর্থে করণ
সবজি দিয়ে ভাত খেয়েছি। ওষুধটা জল দিয়ে গিলে ফেলো।
৬: কালাত্মক করণ
ক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন করতে যতটা সময় লাগে, সেই সময়কে কালাত্মক করণ বলে। এটি কালাধিকরণের থেকে আলাদা।
যেমন: একদিনে বইটা শেষ করেছি। ঘণ্টায় দশটা ব্লাউজ সেলাই করে।
করণ কারক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে কারকের বিস্তারিত আলোচনা পড়ুন।