Ananyabangla.com

ঘোষীভবন কাকে বলে

ঘোষীভবন সম্পর্কে ধারণা

(ঘোষীভবন ও অঘোষীভবন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করার জন্য ঘোষ ও অঘোষ ব্যঞ্জন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রয়োজন। প্রয়োজন থাকলে ঘোষ ও অঘোষ ব্যঞ্জন সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ে নিন।)
কোন অঘোষ ধ্বনি যখন কাছাকাছি কোন ঘোষ ধ্বনির প্রভাবে অথবা বিনা কারণেই ঘোষধ্বনি তে পরিণত হয় তখন তাকে ঘোষীভবন বলে।

ঘোষীভবনের উদাহরণ

১: কাক > কাগ, ২: শাক > শাগ, ৩: থাপড় > থাবড়, ৪: কাঠগড়া > কাডগড়া, ৫: বক > বগ ইত্যাদি।
উপরের ৩ ও ৪ নং উদাহরণে ড় ঘোষ ধ্বনির প্রভাবে যথাক্রমে প>ব ও ঠ>ড হয়েছে। অন্য উদাহরণগুলিতে কোনো ঘোষ ধ্বনির প্রভাব ছাড়াই অঘোষ ধ্বনি ঘোষ ধ্বনিতে পরিণত হয়েছে। ঘোষ ধ্বনির প্রভাব ছাড়াই অঘোষ ধ্বনি যখন ঘোষ ধ্বনিতে পরিণত হয়, তখন অনেকেই তাকে স্বতঃঘোষীভবন নামে আলাদা একটি ধ্বনি-পরিবর্তন হিসেবে চিহ্নিত করতে চান। আমাদের মতে এ রকম আলাদা নামকরণ না করলেও চলে।

উদাহরণ বিশ্লেষণ:

কাঠগড়া > কাডগড়া। এই উদাহরণে অঘোষ ধ্বনি ঠ রূপান্তরিত হয়ে ঘোষধ্বনি ড-তে পরিণত হয়েছে।

অঘোষীভবন কাকে বলে

পাশাপাশি অবস্থিত অঘোষ ধ্বনির প্রভাবে অথবা বিনা কারণেই ঘোষধ্বনি যদি অঘোষ ধ্বনিতে পরিণত হয়, তবে তাকে অঘোষীভবন বলে।

অঘোষীভবনের উদাহরণ

ছাদ > ছাত, বড় ঠাকুর > বট্‌ঠাকুর, খারাব > খারাপ, আদোবে > আদপে, বেয়াদব > বেয়াদপ, ইত্যাদি।

উদাহরণ বিশ্লেষণ:

বেয়াদব > বেয়াদপ। এখানে ঘোষ ধ্বনি ব রূপান্তরিত হয়ে অঘোষ ধ্বনি প-তে পরিণত হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন

BLOG AD HERE

1 thought on “ঘোষীভবন কাকে বলে”

  1. Pingback: স্বরবর্ণ কাকে বলে - Ananyabangla.com

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *