Ananyabangla.com

কারক কাকে বলে | কারক কত প্রকার

কারক কাকে বলে ও কারক কথার ব্যুৎপত্তি

কারক কথার ব্যুৎপত্তি হল √কৃ + অক। কৃ ধাতুর অর্থ হল করা। তাই কারক কথার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল ‘যে করে’। কিন্তু ব্যাকরণে কারক কথাটি সম্পূর্ণ এই অর্থে ব্যবহৃত হয় না।

কারক কাকে বলে

বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সম্পর্ককে কারক বলে। পাণিনি বলেছেন “ক্রিয়ান্বয়ী কারকম্।” এর অর্থ: ক্রিয়ার সাথে যার সম্পর্ক আছে, সে কারক। পাণিনির সংজ্ঞা অনুযায়ী যে পদটির সাথে ক্রিয়ার সম্পর্ক, সেই পদটি কারক‌। সুতরাং পাণিনির মত অনুসারে কারকের সংজ্ঞা হ‌ওয়া উচিত: যে বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের সঙ্গে ক্রিয়াপদের সরাসরি সম্পর্ক আছে, সেই বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে কারক বলে।

কারক কত প্রকার

কারক ছয় প্রকার: কর্তৃ কারক, কর্ম কারক, করণ কারক, নিমিত্ত কারক, অপাদান কারক, অধিকরণ কারক। সংস্কৃত ব্যাকরণে নিমিত্ত কারক নেই, দান ক্রিয়ার গৌণ কর্মের সঙ্গে নিমিত্তের ধারণাটিও সম্প্রদান কারকের অন্তর্গত। ব্যাকরণবিদরা বাংলা ব্যাকরণ থেকে সম্প্রদান কারককে বাদ দিয়েছেন। সম্প্রদান কারক আসলে গৌণ কর্ম। তবু কেউ কেউ সংস্কৃত ব্যাকরণের মোহ ত্যাগ করতে না পেরে সম্প্রদান কারককে বাংলায় স্বীকার করতে চান। অন্য দিকে নিমিত্ত কারকের ধারণাটি বাংলায় নতুন। ছটি কারক ছাড়া দুটি অকারক পদ রয়েছে: সম্বন্ধ পদ ও সম্বোধন পদ। আশা করছি এই পর্যন্ত বোঝা গেছে। বিস্তারিত পড়তে চাইলে নিচে দেওয়া লিংকে টাচ করে পড়তে পারেন।
এবং
বাংলা ব্যাকরণের উপর আমার ইউটিউব ক্লাস করতে চাইলে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন আমার নাম অনন্য পাঠক (Ananya Pathak)

BLOG AD HERE

Leave a Comment