ক্রিয়াবিশেষণ
যে পদগুলি ক্রিয়াপদকে বিশেষিত করে, তাদের ক্রিয়াবিশেষণ বলে।
বিষয়টি আর একটু ভেঙে বলার চেষ্টা করি। আমরা জানি, বাক্যের মধ্যে ৫ ধরনের পদ থাকতে পারে: বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, অব্যয় ও ক্রিয়া। এদের মধ্যে বিশেষণ পদের কাজ হল অন্য পদের সম্পর্কে কিছু জানান দেওয়া, বা অন্য পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ, মাত্রা ইত্যাদি প্রকাশ করা। বিশেষণ পদগুলি ক্রিয়া পদ সম্পর্কেও কিছু কথা জানান দিতে পারে। যেমন: ক্রিয়াটি কী ভাবে হচ্ছে, কতটা হচ্ছে ইত্যাদি। নিচে আমরা কতকগুলি উদাহরণ নিয়ে ক্রিয়াবিশেষণ সম্পর্কে ধারণাটি আরও স্পষ্ট করে নেবো।
ক্রিয়াবিশেষণের উদাহরণ
ছেলেটি দ্রুত হাঁটছে। — এই বাক্যে ‘দ্রুত’ পদটি ক্রিয়াবিশেষণ। যদি প্রশ্ন করা হয় “কেমন ভাবে হাঁটছে?” উত্তর হবে ‘দ্রুত’। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে ‘দ্রুত’ পদটি ‘হাঁটছে’ ক্রিয়ার ধরন প্রকাশ করছে।
এ রকম আরও উদাহরণ:
গাড়িটা হঠাৎ থেমে গেল। – হঠাৎ
ঘুড়িটা গোল গোল ঘুরছে। – গোল গোল
আচমকা ব্রেক কষলো। – আচমকা
বিড়ালটি সন্তর্পণে হাঁটছে। – সন্তর্পণে
সে আমাকে বিচ্ছিরি ভাবে ডাকলো। – বিচ্ছিরি ভাবে
কাজটা সহজে করা যাবে না। – সহজে
বাড়িটা দাউ দাউ করে জ্বলছে। – দাউ দাউ করে
কাজটা পুরোপুরি শেষ করো। – পুরোপুরি
আংশিক ভাবে শেষ করেছি। – আংশিক ভাবে
লোকটা এতটা পথ হেঁটে আসছে। – হেঁটে
সে হনহনিয়ে হাঁটতে পারে না। – হনহনিয়ে
সবাই আনন্দে নাচতে নাচতে এল। – নাচতে নাচতে
উপরের উদাহরণগুলি লক্ষ করলে বোঝা যাবে অনেক সময় অসমাপিকা ক্রিয়াও ক্রিয়াবিশেষণের কাজ করে। যেমন: হেঁটে, হনহনিয়ে, নাচতে নাচতে।
2 thoughts on “ক্রিয়াবিশেষণ কাকে বলে | ক্রিয়াবিশেষণের উদাহরণ”
Jo hoy much.
আ….. যদি এখানে লেখা হয় তৃষ্ণায় তার গলা শুকিয়ে যাচ্ছিল তাহলে এখানে ক্রিয়া বিশেষণ কোনটি হবে? 🤨🧐