মাতৃভাষার সংজ্ঞা
‘মাতৃভাষা’ কথার আক্ষরিক অর্থ হল মায়ের ভাষা। কিন্তু ভাষাবিজ্ঞান অনুসারে মাতৃভাষার সংজ্ঞায় আক্ষরিক অর্থে ‘মায়ের মুখের ভাষা’-কেই মাতৃভাষা বলে না। প্রতিটি মানুষ জন্মের পর তার ভাষা শেখে নিজের পরিবেশ থেকে। জন্মের পর থেকে একজন মানুষ তার পরিবেশ থেকে প্রথম যে ভাষাটি শেখে এবং যে ভাষায় সে সর্বাধিক স্বচ্ছন্দ বোধ করে, সেটিই ওই ব্যক্তির মাতৃভাষা। অনেক সময় এমন দেখা যায় যে একজন শিশু প্রথম শৈশবে একটি বিশেষ ভাষা শেখার পর বিদ্যালয় শিক্ষার শুরুতে অন্য ভাষার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করে। এমন ক্ষেত্রে ঐ শিশু স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যে ভাষায় সবচেয়ে বেশি সময় কথা বলবে, সেই ভাষাটি হবে ঐ শিশুর মাতৃভাষা।
মাতৃভাষা শিক্ষার গুরুত্ব
মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধের সমান। শিশুর দৈহিক বিকাশে মাতৃদুগ্ধ যেমন তুলনাহীন, শিশুর মানসিক বিকাশে মাতৃভাষার ভূমিকাও তেমনি তুলনাহীন।
১: মাতৃভাষা শিশুর কল্পনাশক্তি ও চিন্তাশক্তির বিকাশে সহায়তা করে।
২: মনের ভাব সবচেয়ে সহজে প্রকাশ করা যায় মাতৃভাষার মাধ্যমে।
৩: মাতৃভাষার মাধ্যমে দুর্বোধ্য বিষয়কে সহজে বুঝতে পারা সম্ভব হয়।
৪: মাতৃভাষার মাধ্যমে নিজের সংস্কৃতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে ওঠে।